what is website hosting and domain ডোমেইন হোস্টিং কী

what is website hosting and domain- ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনেকেই একটি ওয়েবসাইট চালু করার পরিকল্পনা করেন। what is hosting and domain আপনি হয়তো ব্যক্তিগত ব্লগ, ব্যবসার ওয়েবসাইট বা অনলাইন শপ শুরু করতে চান, কিন্তু এর জন্য প্রথমেই যেটি প্রয়োজন তা হলো ডোমেইনহোস্টিং। অনেক নতুন ওয়েবমাস্টারের জন্য ডোমেইন ও হোস্টিং নিয়ে বিভ্রান্তি থাকতে পারে। এই আর্টিকেলে, আমরা ডোমেইন এবং হোস্টিং কী, কেন দরকার এবং কীভাবে কাজ করে তা বিস্তারিত আলোচনা করব।

ডোমেইন (Domain) কী?

what is web hosting and domain- ডোমেইন হলো আপনার ওয়েবসাইটের অনন্য ঠিকানা যা ব্যবহারকারীরা ব্রাউজারে টাইপ করে আপনার সাইটে প্রবেশ করবে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের আইডেন্টিটি। উদাহরণস্বরূপ, www.google.com একটি ডোমেইন। যখন আপনি একটি ডোমেইন কিনেন, তখন আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেই নামের মালিকানা দেওয়া হয়।

  • কিভাবে কাজ করে: ইন্টারনেটে প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি আইপি (IP) ঠিকানা থাকে, যা সংখ্যায়িত ফরম্যাটে হয় (যেমন: 192.168.1.1)। তবে এই সংখ্যাগুলো মনে রাখা অনেক কঠিন। ডোমেইন নাম ব্যবহারকারীদের এই কাজ সহজ করে দেয়, কারণ এটি একটি সহজে মনে রাখার মতো নাম (যেমন: example.com) দিয়ে আইপি ঠিকানাকে রিপ্রেজেন্ট করে।
  • ডোমেইন লেভেল: ডোমেইন দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত থাকে:
  • টপ লেভেল ডোমেইন (TLD): এটি ডোমেইনের শেষ অংশ, যেমন .com, .org, .net ইত্যাদি।
  • সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন: এটি ডোমেইনের প্রথম অংশ, যেমন google (যা গুগলের ক্ষেত্রে google.com)।
  • ডোমেইন কেনার প্রক্রিয়া: আপনি চাইলে ডোমেইন রেজিস্ট্রার (যেমন: GoDaddy, Namecheap) থেকে একটি ডোমেইন কিনতে পারেন। এটি সাধারণত ১ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য রেজিস্টার করা যায়।

হোস্টিং (Hosting) কী?

what is the best free web hosting for wordpress- হোস্টিং হলো একটি সার্ভার বা সার্ভিস যা আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত ফাইল এবং ডেটা ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করে রাখে, যাতে ব্যবহারকারীরা যখন আপনার ডোমেইনের মাধ্যমে সাইটে প্রবেশ করে, তখন তারা সেই কনটেন্ট দেখতে পায়। মূলত, হোস্টিং হলো সেই জায়গা যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের ফাইল, ছবি, ডেটাবেস এবং অন্যান্য উপাদানগুলি রাখা হয়।

  • কিভাবে কাজ করে: আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সার্ভারে আপলোড করা থাকে। যখন কোনো ব্যবহারকারী আপনার ডোমেইনটি টাইপ করে, তখন হোস্টিং সার্ভার থেকে সেই ফাইলগুলো ব্রাউজারে দেখায়। তাই ডোমেইন আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা এবং হোস্টিং হলো সেই জায়গা যেখানে আপনার সাইটের তথ্যগুলো রাখা থাকে।

ডোমেইন ও হোস্টিং কেন দরকার?

after buying a domain name what next- আপনার ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে সক্রিয় এবং প্রবেশযোগ্য করতে ডোমেইন এবং হোস্টিং উভয়ই প্রয়োজন। ডোমেইন ছাড়া ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পাবে না, এবং হোস্টিং ছাড়া আপনার সাইটের কোনো কনটেন্ট ইন্টারনেটে দেখা যাবে না।

  • ডোমেইন কেন দরকার:
  • আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি তৈরি করে।
  • সহজে মনে রাখা যায় এবং ইউজারদের জন্য ব্যবহার সহজ।
  • ওয়েবসাইটের আইডেন্টিটি হিসেবে কাজ করে।
  • হোস্টিং কেন দরকার:
  • ওয়েবসাইটের সকল কনটেন্ট সংরক্ষণ এবং প্রদর্শন করে।
  • ২৪/৭ সাইট অ্যাক্সেস করা যায়।
  • সাইটের লোডিং টাইম, পারফরম্যান্স এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

ডোমেইন ও হোস্টিং কিভাবে কাজ করে?

১. ডোমেইন নিবন্ধন (Domain Registration): প্রথমে একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রার থেকে আপনি ডোমেইন নাম কিনবেন। যেমন: example.com কিনতে GoDaddy, Namecheap, বা Google Domains এর মতো সার্ভিসগুলো ব্যবহার করা যায়।

২. হোস্টিং পরিষেবা কেনা (Hosting Service): ডোমেইন কিনার পরে, আপনার একটি হোস্টিং সার্ভিস কিনতে হবে। জনপ্রিয় হোস্টিং সার্ভিসগুলো হলো Bluehost, HostGator, SiteGround ইত্যাদি। হোস্টিং সেবায় আপনার সাইটের ফাইলগুলো আপলোড করা হয় এবং সেই সার্ভারের মাধ্যমেই সাইটটি চালু থাকে।

৩. ডোমেইন এবং হোস্টিং সংযোগ: ডোমেইন এবং হোস্টিং যখন কেনা হবে, তখন DNS (Domain Name System) এর মাধ্যমে ডোমেইনকে হোস্টিং সার্ভারের সাথে যুক্ত করতে হবে।
এটি সম্পন্ন হওয়ার পর, ব্যবহারকারীরা ডোমেইন টাইপ করলে তাদেরকে সরাসরি হোস্টিং সার্ভার থেকে তথ্য দেখানো হবে।

ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের ধরন

ডোমেইনের ধরন:
  • জেনেরিক টপ-লেভেল ডোমেইন (gTLD): এটি হলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডোমেইন, যেমন .com, .net, .org ইত্যাদি।
  • কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইন (ccTLD): এটি নির্দিষ্ট কোনো দেশের জন্য ব্যবহৃত ডোমেইন, যেমন .bd (বাংলাদেশ), .uk (ইউনাইটেড কিংডম) ইত্যাদি।
হোস্টিংয়ের ধরন:
  • শেয়ার্ড হোস্টিং: একাধিক ওয়েবসাইট একই সার্ভারে হোস্ট করা হয়। এটি সবচেয়ে সস্তা এবং নতুনদের জন্য আদর্শ।
  • ভিপিএস হোস্টিং (VPS Hosting): ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার যেখানে একটি সার্ভারের রিসোর্সগুলো ভাগ করা থাকে, তবে আপনার সাইটের জন্য নির্দিষ্ট রিসোর্স থাকে।
    • এটি বেশি ট্রাফিকের সাইটের জন্য ভালো।
  • ডেডিকেটেড হোস্টিং: আপনি সম্পূর্ণ একটি সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করবেন, যেখানে কোনো অন্য সাইট থাকবে না।
    • এটি বড় এবং উচ্চ ট্রাফিকের সাইটের জন্য আদর্শ।

কিভাবে সঠিক ডোমেইন ও হোস্টিং নির্বাচন করবেন?

  • ডোমেইন নামের পছন্দ: ডোমেইন নাম এমনভাবে নির্বাচন করুন যা সহজে মনে রাখা যায়, ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের উপযোগী।
  • হোস্টিং সার্ভিসের পছন্দ: শেয়ার্ড, VPS, বা ডেডিকেটেড হোস্টিং থেকে আপনার সাইটের প্রয়োজন অনুযায়ী পছন্দ করুন।
    • ট্রাফিক অনুযায়ী উপযুক্ত হোস্টিং নির্বাচন করুন।
  • পারফরম্যান্স এবং নিরাপত্তা: হোস্টিং কোম্পানির সাপোর্ট, আপটাইম, এবং নিরাপত্তা সুবিধা যাচাই করুন।
    • যারা ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট দেয় এবং সাইটের নিরাপত্তা বজায় রাখে, তাদের প্রাধান্য দিন।

what is website hosting and domain

ডোমেইন এবং হোস্টিং একটি ওয়েবসাইট চালানোর জন্য মৌলিক প্রয়োজনীয়তা। ডোমেইন হলো আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয়, এবং হোস্টিং হলো সেই স্থান যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো রাখা হয়।
একটি সফল ওয়েবসাইট পরিচালনা করার জন্য সঠিক ডোমেইন এবং উপযুক্ত হোস্টিং নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Share it to You and your Friends

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top