মন্ত্রনালয়ের সংখ্যা – বাংলাদেশে মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রীর সংখ্যা

মন্ত্রনালয়ের সংখ্যা বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদে মোট ৫৮টি মন্ত্রণালয় রয়েছে। এবং এ সকাল মন্ত্রনালয়ের অধিনে ৩৫২টি অধিদপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৩৯৯টি সরকারি সংস্থা আছে (যার মধ্যে অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থা, পর্ষদ, ও কর্তৃপক্ষ মিলিয়ে এই সংখ্যা হয়েছে)

বাংলাদেশ সংবিধানে কতজন মন্ত্রী আছে- বাংলাদেশ সংবিধান আনুযায়ী বাংলাদেশে কতজন মন্ত্রি থাকবে এটার কোনো সুনিদৃষ্ট সংখ্যা নেই। বাংলাদেশ সংবিধান ৫৬। (১) ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী গনকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করে থাকেন।

মন্ত্রনালয়ের সংখ্যা

এখানে রাষ্ট্রপতি তার পছন্দের লোকদেন নিয়োগ করতে পারেন, স্বর্তঃ নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য নয়-দশমাংশ বা সহঝে বল্লে ৯০% নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে। এক-দশমাংশ রাষ্ট্রপতি যেকোনো ব্যাক্তিকে নিয়োগ দিতে পারেন।

স্বর্তঃ সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে মনোনীত হইতে পারিবেন (সংবিধান ৫৬। (১) ধারা) উল্লেখ্য রাষ্ট্রপতি বা সরকার চাইলে প্রতিটা মন্ত্রনালয়ের জন্য আলাদা আলাদা মন্ত্রী নিয়োগ প্রদান করেতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাদেরকে উপরোক্ত বিষয় মেনে মন্ত্রি নিয়োগ প্রদান করতে পারবেন।

বাংলাদেশে সকল মন্ত্রিদের প্রধান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

  • বাংলাদেশে মন্ত্রণালয়ের হিসাব এবং প্রশাসনিক কাজের তত্ত্বাবধান করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে কাজ করে এবং এটি সমস্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও নির্দেশনা প্রদান করে।
  • এছাড়াও, মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, যিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং মন্ত্রিপরিষদ থেকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাকি সকল মন্ত্রনালয়কে নিয়ন্ত্রন করে থাকে। বা এভাবে বলা যেতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাকি সকল মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে এবং সরকারের নীতিমালা ও সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে সহায়তা করে।

এটা ইংরেজিতে দেখতে এখানে ভিজিট করুন, অথবা উপরে ইংরেজী বাটনে ক্লিক করে দেখতে পারেন

কোন মন্ত্রনালয়ে অধিনে কতটি অধিদপ্তর আছে তার বিস্তারিত

মন্ত্রনালয়ের সংখ্যা – বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদে মোট ৫৮টি মন্ত্রণালয় রয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, ও সংস্থা কাজ করে। নিচে মন্ত্রণালয়ের নাম এবং তাদের অধীনস্থ দপ্তরের সংখ্যা উল্লেখ করা হলো:
(এখানে শুধু মাত্র মাত্র অধিদপ্ত এর সংখ্যা আছে, এ ছারাও কিছু দপ্তরের পরিদপ্তর আছে তাই সংখ্যা টা বেশী হতে পারে)

মন্ত্রনালয়ের সংখ্যা

ক্রঃমন্ত্রণালয়ের নামদপ্তরের সংখ্যাসংখিপ্ত নাম
১।কৃষি মন্ত্রণালয় ৭ টিmoa
২।খাদ্য মন্ত্রণালয় ৪ টি
৩।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৫ টি
৪।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়৬ টি
৫।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ৩ টি
৬। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৩ টি
৭।ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৪ টি
৮।পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় – ৬টি৬ টি
৯।পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ১১ টি
১০।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়১৪ টি
১১।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়২ টি
১২।পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়৭ টি
১৩।পথ পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়৮ টি
১৪।পুলিশ মহাপরিদপ্তর৬ টি
১৫।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়২০ টি
১৬।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৬ টি
১৭।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৯ টি
১৮।প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা ও শিল্পমন্ত্রী১৫ টি
১৯।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়৯ টি
২০।বিদ্যুৎ বিভাগ৮ টি
২১।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়১৫ টি
২২।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়১৬ টি
২৩।ভূমি মন্ত্রণালয়১৩ টি
২৪।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ১৩ টি
২৫।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়৯ টি
২৬।যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়৯ টি
২৭।রেলপথ মন্ত্রণালয়৩ টি
২৮। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়১৪ টি
২৯।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়০৩ টি
৩০।সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়০৭ টি
৩১।শিক্ষা মন্ত্রণালয়২০ টি
৩২।শিল্প মন্ত্রণালয়১৯ টি
৩৩।সমুদ্র সম্পদ মন্ত্রণালয়৫ টি
৩৪।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৩ টি
৩৫।সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়০৬ টি
৩৬। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়০৭ টি
৩৭।সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ১১ টি
৩৮।সামাজিক কল্যাণ মন্ত্রণালয়১৫ টি
৩৯।শিক্ষা মন্ত্রণালয়২৩ টি
৪০।সৌরশক্তি বিভাগ০৬ টি
৪১।স্থানীয় সরকার বিভাগ১৫ টি
৪২।সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিধবা নারী মন্ত্রণালয়৭ টি
৪৩।সেতু বিভাগ ০২ টি
৪৪।সাংস্কৃতিক চর্চা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মন্ত্রণালয়০৭ টি
৪৫।সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়০৭ টি
৪৬।সীমানা বিষয়ক মন্ত্রণালয়০২ টি
৪৭।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়১৮ টি
৪৮।সামরিক বাহিনী মন্ত্রণালয়০৩ টি
৪৯।সীমানা, উন্নয়ন ও সংস্কার মন্ত্রণালয়০৭ টি
৫০।সামরিক বাহিনী বিভাগ০২ টি
৫১।সামাজিক কল্যাণ ও সার্ভিসেস মন্ত্রণালয়১৫ টি
৫২।সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়১৪ টি
৫৩।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ১০ টি
৫৪।শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়১৯ টি
৫৫।শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়১৪ টি
৫৬।সরকারি মন্ত্রণালয়০৮ টি
৫৭।সাংবাদিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়০৬ টি
৫৮।সড়ক ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়০৯ টি
উলেখ্য: (এই সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে এবং কিছু দপ্তর একাধিক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করতে পারে।
এছারাও কিছু দপ্তরের দপ্তর আছে যার কারনে এগুলো যোগ করলে এর সংখ্যা বৃদ্ধি হতে পারে )

বাংলাদেশের নতুন মন্ত্রিপরিষদ

নতুন মন্ত্রিপরিষদে মন্ত্রি এবং মন্ত্রনালয়ের সংখ্যা। এটি ৫ আগস্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি বিশেষ পরিস্তিতিতে গঠিত একটি অস্থায়ী মন্ত্রিপরিষদ।

তাই এই মন্ত্রিপরিষদকে কোনো অস্থায়ী/বা তত্বাবধায়ক সরকার বলা হয় না। এই নতুন সরকার গঠনের জন্য সামরিক বাহিনী একটি অস্থায়ী সরকারের ঘোষণা দেয়। যা জনসাধারণের দাবির প্রতিফলন হিসেবে গঠিত হয়েছে।
এই মন্ত্রিপরিষদে ১৭ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। এই সরকারকে উপদেষ্টা বলা হয় কারন এই উদ্ভুদ পরিস্তিতিতে জুরুরি ভিত্তিতে গঠিত কোন সরকার এর আদেশে গঠিত হয়নি।

মন্ত্রনালয় এবং মন্ত্রি

  • নতুন মন্ত্রিপরিষদের কারনে মন্ত্রনালয়ের কোন পরিবর্তন হবে না, তাবে স্বল্প সংখ্যক উপদেষ্টা হওয়ায় একজন উপদেষ্টাকে একাধিক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
  • নতুন সরকার গঠনের আদেশটি সামরিক বাহিনী দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য ছিল।
  • নতুন মন্ত্রিপরিষদের লক্ষ্য হল দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠন করা এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করা।
  • উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের প্রধান কাজ হলো সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কার বাস্তবায়ন করা।
  • মন্ত্রিপরিষদ এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সংকট সমাধানে কাজ করছে ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্য একটি স্বাধীন পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

  • এই মন্ত্রিপরিষদ গঠনের পেছনের প্রেক্ষাপট ছিল গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা। নতুন সরকারকে এখন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা।
  • নতুন মন্ত্রিপরিষদের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, এবং জনগণের চাহিদা পূরণের সক্ষমতার উপর। দেশের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু শাসন প্রতিষ্ঠার নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Scroll to Top