রংপুরের কাছে পাত্তাই পেল না তামিমের বরিশাল!

রংপুর রাইডার্স বনাম ফরচুন বরিশাল ম্যাচ মানেই যেনো বাড়তি উত্তেজনা। অনেকেই তো, বিপিএলের ক্ল্যাসিকো বলে থাকে এই ম্যাচকে। তবে মৌসুমের প্রথম ক্ল্যাসিকোটা হলো একদম একপেশে। রংপুরের কাছে একদম উড়ে গেছে বরিশাল। তামিম ইকবালের দলের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট ও ৩০ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে রংপুর।

টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন সোহান। রাইডার্স অধিনায়কের লক্ষ্যটা ছিল পরিষ্কার, কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে যতটা কম রানে সম্ভব বরিশালকে আটকে দেওয়া। সোহানকে হতাশ করেনি নাহিদ রানা-খুশদিল শাহরা। বরিশালের ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন তারা।

প্রথম ম্যাচে ডাক মারা নাজমুল হোসেন শান্ত এদিন ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরেই। শেখ মাহেদী হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ১০ বলে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯ রান। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল আক্রমণাত্মক শুরু করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নাহিদকে ডাউট দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। বরিশাল অধিনায়ক খেলেছেন ১৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস।

তাওহীদ হৃদয় আবারও ব্যর্থ। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম, কাইল মেয়ার্স ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একটা সময় তো একশোর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। তবে সেখান থেকে বরিশালকে উদ্ধার করেছেন মোহাম্মদ নবী। তার ১৯ বলে অপরাজিত ২১ রানের ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় বরিশাল।

রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন খুশদিল শাহ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আকিফ জাভেদ ও নাহিদ রানা।

রান তাড়ায় শুরুতেই আজিজুল হাকিম তামিম ও তিনে নামা তৌফিক খান তুষারকে হারায় রংপুর। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ইকবাল হোসেন ইমন নিজের প্রথম ওভারেই নিয়েছেন দুই উইকেট।

এরপরের গল্পটা শুধুই রংপুরের। স্পষ্ট করে বললে অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসানের। দুজনেই করেছেন দুর্দান্ত ব্যাটিং। হেলসের চাইতে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন সাইফ। বরিশালের বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন টাইগার এ ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে সাইফকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন হেলস।

৩৮ বলে টুর্নামেন্টে নিজের ফিফটি তুলে নিয়েছেন সাইফ। শেষ পর্যন্ত, ৪৬ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার। হেলস ৪১ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

বরিশালের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন।

Share it to You and your Friends

Leave a Comment